সারা দেশে ফিজিওথেরাপি ও হিজামা (কাপিং) থেরাপির প্রতি মানুষের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের ব্যথা, স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা ও শারীরিক কর্মক্ষমতার ঘাটতি দূর করতে অনেক রোগী বিকল্প ও নিরাপদ চিকিৎসা হিসেবে এ দুটি থেরাপির প্রতি ঝুঁকছেন।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, ঘাড়–কোমরের ব্যথা, সায়াটিকা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাঁটু ও জয়েন্টজনিত ব্যথা, পেশির জড়তা এবং মস্কুলোস্কেলেটাল সমস্যায় ফিজিওথেরাপি একটি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিলে ব্যথা কমার পাশাপাশি পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং রোগীরা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।

এদিকে, হিজামা বা কাপিং থেরাপি দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি, পেশির জড়তা দূর করা, টক্সিন নির্গমন এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশমে এ থেরাপি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। সঠিক নিয়মে এবং প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে কাপিং থেরাপি গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি খুবই কম।

দেশজুড়ে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি ও হিজামা সেন্টারে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক রোগী জানিয়েছেন, নিয়মিত সেশন গ্রহণের ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা, পেশির দুর্বলতা ও স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ব্যথার মূল কারণ নির্ণয় করে ফিজিওথেরাপি এবং কাপিং থেরাপিকে সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করা হলে অধিকাংশ ব্যথাজনিত সমস্যা সার্জারি ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এজন্য যোগ্য ও অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।